| | বঙ্গাব্দ

আসহাবে সুফফা

 

আসহাবে সুফফা

আসহাবে সুফফা
প্রিয় রাসূল (সাঃ) এর মহব্বতে দুনিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে যারা মসজিদে নববী পড়ে থাকতেন তিঁনারাই অাসহাবে সুফফা। দিবা-রাত্রি রসূলের মহব্বত অার অাল্লাহ ইবাদতে মশগুল থাকাই ছিলো তিঁনাদের কাজ।
অাল্লাহপাক কোরঅান মাজিদে ফরমান,
" যারা দিন-রাত অাল্লাহকে ডাকে এবং অাল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে তাদের স্বীয় সহচার্য হতে দূরে সরিয়ে রাখবেন না"
- সূরা- অাল অানঅামঃ৫২
হযরত অাব্দুল্লাহ ইবনে অাব্বাস (রাঃ) ফরমান,
"একদিন রাসূল (সাঃ) অাসহাবে সুফফাগনেন কাছে দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলেন, অর্ধাহারে-অনাহারে থাকা সত্ত্বেও তাঁরা অানন্দিত। তিঁনি তাদের বললেন, " হে অাসহাবে সুফফা! তোমাদের ও অামার ঐসব উম্মতের জন্য সুসংবাদ যে যারা তোমাদের পর তোমাদের মতো থাকবে তারা অামার সাথে বেহশতে অবস্থান করবে।"
অাসহাবে সুফফা এবং তিঁনাদের প্রশংসনীয় কিছু কাজের কথা বলছিঃ
১. হযরত বিলাল (রাঃ)। যিঁনি অাল্লাহপাকের নিকট অতি মযার্দাসম্পন্ন মুয়াজ্জিন ছিলেন।
২. হযরত সালমাস ফারসি (রাঃ)। যিঁনি অাল্লাহপাকে বন্ধু এবং রাসূল (সাঃ) এঁর মারেফাতের ভান্ডার ছিলেন। তিঁনি অামাদের তরিকার তৃতীয় ইমাম।
৩. হযরত অাবু উবাইদাহ অামের ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাঃ)। তিঁনি মুহাজির ও অানসারগনের নেতা ছিলেন। মহান খোদাতায়ালার সন্তুষ্টি লাভের অাশায় দিবা-রাত্রি মসজিদে নববীতে থাকতেন।
৪. হযরত অাবু তাফীতান অাম্মার ইবনে ইয়াসার (রাঃ)। ইসলাম ধর্মগ্রহন করার কারনে ভয়ানক শাস্তি পেয়েছিলেন।
৫. হযরত অাবু মাসউদ অাব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ দাহযলী (রাঃ)। তিনি মদিনার প্রসিদ্ধ অালেম ছিলেন।
৬. হযরত উতাবাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ)। তিঁনি পবিত্র হৃদয়ের অধীকারী ছিলেন।
৭. হযরত মিকদাদ ইবনে অাসওয়াদ (রাঃ)। তিঁনি অাল্লাহপাকের অপছন্দনীয় কাজ করা থেকে বিরত থাকতেন।
৮. হযরত খাব্বান ইবনে অারত (রাঃ)। তিঁনি অতিশয় পরহেযগার, ইসলাম প্রচারক এবং বিপদে ধৈর্যশীল ছিলেন। ইসলাম গ্রহনের অপরাধে তিঁনার মুশরিক মনিব তিঁনাকে জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর চিৎ করে শুইয়ে বুকে পাথর চাপা দিয়ে রেখেছিলো।
৯. হযরত সুহাইব ইবনে মান্নান (রাঃ)। অাল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে অাত্নোৎসর্গিত প্রান ছিলেন তিঁনি।
১০. হযরত উতাবাহ ইবনে গাযওয়ান (রাঃ)। অল্পতে তুষ্টি থাকতে তিঁনি ছিলেন অনবদ্য।
১১. হযরত জায়েদ ইবনে খাত্তাব (রাঃ)। দুনিয়ার সম্পর্ক ত্যাগ করে শুধু মহান খোদাতায়ালার ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। তিঁনি হযরত উমর (রাঃ) ভাই ছিলেন।
১২. হযরত অাবু কাবাশাহ (রাঃ)। তিঁনি রাসূল (সাঃ) এঁর অাযাদকৃত গোলাম ছিলেন।
১৩. হযরত অাবুল মারছাদ কেনানা হাসীন অাদুবী (রাঃ) যিঁনি খোদাগত প্রান সাহাবী।
১৪. হযরত সালেম (রাঃ)। হুজায়ফা ইয়ামানির অাযাদকৃত দাস।
১৫. হযরত অাকাশাহ ইবনে হাসীন (রাঃ)। অাল্লাহর অাযাবকে ভয় করতেন এবং অাল্লাহ বিরোধী পথ হতে দূরে থাকতেন।
১৬. হযরত মাসউদ ইবনে রবী কারী (রাঃ)। তিঁনি মুহাজির ও অানসারগনের প্রিয় পাত্র ছিলেন এবং বনী ওকারের গোত্রপতি ছিলেন।
১৭. হযরত অাবুজর জুনদব ইবনে জুনাদাহ গিফারী (রাঃ)। তিঁনি কৃতজ্ঞতায় ছিলেন হযরত ঈসা (অাঃ) ও প্রেমে ছিলেন হযরত মুসা (অাঃ) এর মত।
১৮. হযরত অাব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ)। তিঁনি রাসূল (সাঃ) এঁর পবিত্র বাণী মোবারক সংরক্ষন করতেন।
১৯. হযরত সাফওয়ান ইবনে বায়দা (রাঃ)।
২০. হযরত অাবু দারদা (রাঃ) যিঁনি ছিলেন পূত-পবিত্র।
২১. হযরত অাবু লুবাবাহ ইবনে অাব্দুল মুনযার (রাঃ)। যিঁনি রাসূল পাকের পরম স্নেহের পাত্র ছিলেন
২২. হযরত অাব্দুল্লাহ ইবনে বদর জুহনী (রাঃ)। যিঁনি ভদ্রতায় ছিলেন সমুদ্রের পরশমনি অার তাওয়াক্কুলে ছিলেন ঝিনুকের মোতির মত।
এছাড়া অারো বহু অাসহাবে সুফফা ছিলেন।
প্রায় ১৪০০ পর মদিনার মসজিদে নববীর মত করে অামার দয়াল পীর দস্তগীর বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরীর দরবার শরীফ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে ও অাসহাব সুফফাগনের মত করে কিছু মানুষ অর্ধহারে -অনাহারে অাল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের অাশায় দিন কাটায়।
হযরত পীর কেবলাজানের মহব্বতে দিবা-রাত্রী ধুলা বালির মধ্যেই তারা দিন কাটায়। অালাউদ্দিন দাদা, কিতাব অালী দাদা, পেয়ার অালী ওস্তাদ, কাইয়ুম দাদা, অাবুল ওস্তাদ, খাঁন কাকা সহ নাম না জানা কত খাজা প্রেমিক নিজের জীবনকে অাপন পীরের কদমে অাল্লাহর রাহে কোরবাণী করে দিয়েছেন।
সেই মদিনার অাসহাবে সুফফাগনকে অামি দেখি নাই কিন্তু তিঁনাদের মত কিছু অাল্লাহপাগল, নবী প্রমিক মানুষকে অাপন পীরের দরবার তথা বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে দেখিচি।
অাল্লাহপাক তিঁনার প্রিয় হাবীব রাসূল (সাঃ) এঁর খাতিরে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল পবিত্র দরবার শরীফ খেদমত করার সুযোগ দান করুন।
অামিন!!

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন