রংপুর জেলায় খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের একজন মুরিদ থাকতেন।
তিনি ব্যবসা করতেন। ব্যবসার কাজে তাকে নানা সময় বিভিন্ন দিকে যাতায়াত করতে হতো। একবার ব্যবসায়িক কাজে তিনি বাড়ী থেকে দুরবর্তী এক বাজারে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরতে ফিরতে তার অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। অন্ধকার রাত, জংগলের ভিতর দিয়ে পথ। তিনি একা একা হাটছেন, মনে মনে একটু ভয়ও পাচ্ছিলেন। তবু হেটে চলেছেন। এমন সময় শুনতে পেলেন পিছন থেকে কে যেন তাকে ডাকছে আর বলছে,
তিনি ব্যবসা করতেন। ব্যবসার কাজে তাকে নানা সময় বিভিন্ন দিকে যাতায়াত করতে হতো। একবার ব্যবসায়িক কাজে তিনি বাড়ী থেকে দুরবর্তী এক বাজারে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরতে ফিরতে তার অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। অন্ধকার রাত, জংগলের ভিতর দিয়ে পথ। তিনি একা একা হাটছেন, মনে মনে একটু ভয়ও পাচ্ছিলেন। তবু হেটে চলেছেন। এমন সময় শুনতে পেলেন পিছন থেকে কে যেন তাকে ডাকছে আর বলছে,
“দাঁড়াও বাবা, আর যেওনা”।
তিনি বিষয়টিকে মনের ভ্রম মনে করলেন এবং হাঁটতে থাকলেন। আবার একই কন্ঠ, একই আহবান। তিনি আবারও ভাবলেন নিশ্চয়ই মনের ভুল এবং হাটতে থাকলেন।
এবার খুব স্পষ্ট আওয়াজ এবং ধমকের স্বরে বলা হলো, “আর এক পাও সামনে আগাবেনা"।
তিনি চমকে উঠলেন, আরে এ যে খাজাবাবার কন্ঠস্বর। এই গভীর নিশীথে এত দুরদুরান্তরে খাজাবাবার কন্ঠস্বর শুনে তিনি স্তম্ভিত হয়ে পড়লেন। বুঝলেন সামনে নিশ্চয়ই কোন বিপদ। তিনি আর সামনে এগুলেননা। বরং একটু পিছনে সরে এসে দাড়িয়ে পড়লেন এবং ভাবতে থাকলেন, এই গভীর জংগলের ভিতর কি করবেন।
কিছুক্ষণ পর তিনি দেখতে পেলেন কিছু লোকজন হৈচৈ করছে, তাদের হাতে হারিকেন এবং লাঠিসোটা। বাতি দেখে তিনি সামনে এগিয়ে গেলেন এবং দেখলেন রাস্তায় একটি প্রকান্ড সাপ পড়ে আছে। গ্রামের লোকজন বাতি নিয়ে যাবার পথে সাপটিকে দেখে লাঠি বল্লম দিয়ে মেরে ফেলেছে। এখন তিনি বুঝতে পারলেন তার পীর মুরীদের বিপদ আসন্ন দেখে সুদুর আটরশি থেকে রুহানী কন্ঠে ডাক দিয়েছেন, তাকে প্রাণে বাঁচিয়েছেন। কারণ সাপটা রাস্তার উপরই শুয়ে ছিল এবং অন্ধকার পথে সামনে পড়লে উক্ত জাকের ভাইকে ছোবল মারতো। পরবর্তীতে উক্ত জাকের ভাই দরবারে এসে হযরত পীর কেবলাজান (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের কদমে পড়ে কাঁদতে কাঁদতে এই ঘটনা বর্ণনা করেছিলেন।
তোরা চল সকলে চল
আমার বাবার কদমে
দয়দাল বাবা ডাকিতেছন
মধুর বচনে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন