| | বঙ্গাব্দ

খাজাবাবা ফরিদপুরী (কু:ছে:আ:) ছাহেবের পবিত্র উপদেশ

 

খাজাবাবা ফরিদপুরী (কু:ছে:আ:) ছাহেবের পবিত্র উপদেশ

বিশ্ব জাকের মঞ্জিল পাক দরবার শরীফের মহান প্রতিষ্ঠাতা অামার প্রানের মুর্শিদ দয়াল পীর দস্তগীর হযরত খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃঅাঃ) কেবলাজান ছাহেব ১৩ ই অক্টোবর ১৯৮৫ ইং তে সমস্ত জাকেরানের উদ্দ্যেশে নিমোক্ত উপদেশ দান করেনঃ
১. এক জাকের অপর জাকেরের প্রতি সহোদর ভাই এর চেয়েও সত্তরগুন মহব্বত রাখিতে হইবে। কার্যক্ষেত্রেও সেই মহব্বতের প্রমান দিতে হইবে।
২. কোন জাকের কোন অসুবিধায় পড়িলে এলাকার জাকেরগন সম্মিলিতভাবে তাহাকে উদ্ধার করিবেন।
৩. কোন জাকের যদি অাপনার বাড়ীতে যায়, তাহা হইলে মনে করিবেন অাপনার পীরই অাপনার বাড়ীতে অাসিয়াছেন।
৪. প্রত্যেক জাকেরকেই কিছু কিছু ব্যবসা করিতে হবে। যদিও অাপনার গোলাভরা ধান থাকে, তবুও ব্যবসা করিতে হইবে। তাহাতে রেজেক বৃদ্ধি পাইবে, অভাব-অনটন ও দুঃখ-দুর্দশা মোচন হইবে, সংসারে ও সমাজে সুখ-সমৃদ্ধি অাসিবে। দারিদ্রতা মানুষকে বিপথে ঠেলে দেয়। অতএব সেই দারিদ্রতা দূর করিতে হইবে।
৫. কখনও কখনও কোনো জাকের কিংবা মহিলা জাকের অাপনার নিকট যাইয়া অামার নামে, অাপনার পীর অাম্মার নামে অথবা দরবার শরীফের মসজিদ, হাসপাতাল বা অন্যান্য খেদমতের নামে টাকা-পয়সা চাহিবে। সাবধান! এই ভাবে কখনও টাকা-পয়সা দিবেন না। মনে রাখিবেন, তারা ধোকাবাজ।
৬. কোন খেদমত করিতে হইলে এলাকার নেতৃস্থানীয় জাকেরদের সাথে অালোচনা করিবেন এবং সকলে মিলিয়া খেদমত করিবেন।
৭. পীরের নিকট কোন জাহেরী নালিশের প্রয়োজন নাই। সর্বদা অাল্লাহকে ডাকিবেন এবং নিজের পীরকে স্মরন রাখিবেন।
৮. অাপনার নিজের অথবা অাপনার পরিবারের কাহারও অসুখ হইলে ভাল ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা করিবেন। "অামি জাকের", ডাক্তার দেখাইব কেন, ওষুধ খাইব কেন? - এইসব কথা বলা চলিবে না।
৯. মামলা-মোকাদ্দমা এড়াইয়া চলিবেন। অগত্যা কোনো মামলায় জড়াইয়া পড়িলে ভাল উকিলের সাথে পরামর্শ করিয়া নিষ্পত্তির চেষ্টা করিবেন।
১০. কেহ স্ত্রীর সাথে অন্যায়ভাবে ঝগড়া- বিবাদ করিবেন না। ঝগড়া-ঝাটির ফলে সংসার হইতে অাল্লাহর রহমত চলিয়া যায়। স্ত্রী অাপনার সেবা করিয়া থাকেন। তিনি অাপনার সহধর্মিনী। তাঁর মতন বন্ধু কেহ নাই। কাজেই মিল-মহব্বতের সঙ্গে চলিবেন। তাহাতে অাল্লাহ খুশি হইবেন অার অাপনারও সুখী হইবেন।
১১. মেয়েরা কখনই মাথার কাপড় ফেলিয়া বেপর্দায় বাহিরে ঘুরিবেন না। তাহলে অাল্লাহর রহমত উঠিয়া যাইবে।
১২. বর্তমান যামানা বড়ই মছিবতের যামানা, অাপনারা ছেলেমেয়েদের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, তাহারা যেন বিপথে না চলে।
১৩. অাদব, বুদ্ধি, মহব্বত ও সাহসের সাথে সমস্ত কাজ করলে অাল্লাহ অাপনাদের সাথে থাকবেন।
১৪. কোনো জলসা করিবার ইচ্ছা থাকিলে এলাকার প্রধান জাকেরদের সাথে অালোচনা ও পরার্মশ করিবেন। তাহা হইলে জলসা করিতে কোনো অসুবিধা হইবেনা।
১৫. প্রত্যেক জাকেরকেই ঠিকভাবে নামাজ অাদায় করিতে হইবে এবং নিশির শেষভাগে অবশ্যই বিছানা ছাড়িয়া অাল্লাহকে এই তিন নামে ডাকিতে হইবে- ইয়া অাল্লাহু, ইয়া রাহমানু, ইয়া রাহীম, অার মাঝে মাঝে ইয়া রাহমাতাল্লিল অাল-অামিন বলিয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া দয়াল নবীকে ডাকিবেন তবেই ত্রান ও শান্তি।
১৬. বিশ্ব জাকের মঞ্জিল মসজিদ ও হাসপাতাল নির্মানের খেদমত শরিক থাকা অাপনাদের প্রত্যেকেরই প্রয়োজন। অতএব নিজ নিজ তৌফিক পরিমান উক্ত খেদমতে শামিল হওয়ার নিয়ত রাখুন। এই উদ্দেশ্যে প্রতি এলাকার মসজিদ ও হাসপাতালের জন্য অালাদা অালাদা ফান্ড গঠন করিবেন এবং যথাসময়ে ফান্ডের টাকা সরাসরি অামার হাতে পৌছাইয়া দিবেন। মেয়ে জাকেররাও মসজিদের পাথর ভাঙ্গিয়া খেদমতে শরিক থাকিবেন।

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন