মোঘল সম্রাট আকবরের শাসন আমলে "দশকাহনিয়া বাজু" নামে পরিচিত ছিলো শেরপুর জেলা।
গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজীর নামানুসারে শেরপুর জেলার নামকরন করা হয়। এই শেরপুর জেলার নিবিড় পল্লী বারোঘরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন হাদিয়ে আগা, হেদায়েতের নূর, হুমায়ে হুমায়ন, বাদশায়ে দো'জাহান আমার জমিদারী, আমার বাহাদুরী বিশ্বওলী হযরত খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেব।
গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজীর নামানুসারে শেরপুর জেলার নামকরন করা হয়। এই শেরপুর জেলার নিবিড় পল্লী বারোঘরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন হাদিয়ে আগা, হেদায়েতের নূর, হুমায়ে হুমায়ন, বাদশায়ে দো'জাহান আমার জমিদারী, আমার বাহাদুরী বিশ্বওলী হযরত খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেব।
শিশু বয়সে মাতৃহারা হন।
দশ বছর বয়স হইতে সাধনা জীবন শুরু হয় তিঁনার। আর এই সাধনা জীবনের শিক্ষক ছিলেন উপমহাদেশের বিখ্যাত আউলিয়া আসাম-বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষের সত্যের পথ প্রদর্শক শাহসূফী খাজা এনায়েতপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেব। খাজা এনায়েতপুরী দীর্ঘ ৪৪ বছর নিজ সান্নিধ্যে রেখে আমার পীর কেবলাজান কে শিক্ষাদেন শরিয়ত, তরিকত, হাকিকত ও মারিফাতের জ্ঞান।
শরিয়ত, তরিকত, হাকিকত ও মারিফাতের পূর্ন জ্ঞানী করে লক্ষ কোটি পথ ভোলা মানুষকে সত্যের সন্ধান দেয়ার জন্য ফরিদপুরের প্রেরন করেন। আমার পীর কেবলাজান তিঁনার পীর খাজা এনায়োতপুরী (রহঃ) ছাহেবের হুকুমে প্রতিষ্ঠা করেন " জাকের ক্যাম্প"।
নক্সবন্দীয়া-মুজাদেদ্দীয়া তরিকার দপ্তর " জাকের ক্যাম্প" হইতে শুরু হয় রাসূলে পাক (সাঃ) এর সত্য তরিকার প্রচার। সত্যের মধু পান করার জন্য ছুটে আসতে থাকলো মানুষ। প্রথমে ফরিদপুর জেলা থেকে তারপর সারা দেশ থেকে একটা সময় সারা বিশ্ব থেকে। সময়ের বিবর্তনে আসতে শুরু করলেন ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট, সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত সহ মুসলিম বিশ্বের সকল দেশের ধর্মীয় নেতাগন। আমার বান্ধবের বাণী পৌছে গেল ইউরোপ-আমেরিকায়। ইউরোপ-আমোরিকার বিখ্যাত পত্রিকা গুলো আমার রাহনুমাকে নিয়ে সংবাদ কাভার করা শুরু করলো। ১৯৭৭ সালের পর বাংলাদেশের খুব কম রাজনীতিবিদই ছিলেন যারা বিশ্ব জাকের মঞ্জিল আসেনি বা আমার দয়ালের কদমচুমেনি।
রাষ্টপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-এমপি, মেজর জেনারেল, জিওসি, বুদ্ধিজীবি, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, আমলা, আলেম-উলামা, দিন-মজুর, খেটে খাওয়া মানুষ, শ্রমিক কে আসেনি আমার দয়াল চাঁনের কদমে?
এত কিছুর পরও তিঁনি আপন পীর খাজা এনায়েতপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবকে ভুলে যান নি।
আমরা পীর কেবলাজান বিজয়ী সেনাপতি কিন্তু বিজেতার মত নম্র। ছিলেন নিরহংকার।
"আমি" শব্দটি কখনো বলতেন না। আপন পীরের বরাত দিয়ে ই সব বলতেন। আপন পীরের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান, আনুগত্য, ভালোবাসা কিভাবে প্রকাশ করতে হয় তিঁনি ছিলেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
আপন পীরের দরবার "এনায়েতপুর দরবার শরীফ" থেকে যে কেউ আসলেই তাকে "বিশেষ মেহমানের" মর্যাদা দিতেন। নিজে দাঁড়িয়ে মেহমানদারী করাতেন।
বৈশাখের এক বিকালে আমার পীর কেবলাজান হুজুর উত্তরের দায়রা শরীফে দাঁড়ানো। এমন সময় উত্তর দিক থেকে বাতাস এলো। কেবলাজান ছাহেব পাঞ্জাবী মোবারকের উপরের বোতাম খানা খুলে বললেন,
" আহ! পীরের দেশের বাতাস কি ঠান্ডা, কি শীতল!"
আপন পীরের তিরোধানে একাধারে ৪০ দিন অনাহারে ছিলেন।
পীর ছিলো তিঁনার জমিদারী-বাহাদুরী কিন্তু মুরিদ ছিলো আত্নার ধন।
পীরকে কিভাবে ভালোবাসতে হয় তিঁনি শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা কি তিঁনার শিক্ষা গ্রহন করতে পেরেছি?
আমার মহান বান্ধব যিঁনি কোন কালে আমাদের মত গুনাহগারদের ভুলে যান নাই, আপন পীরের নিকট সারা জীবন আমাদের কথাই বলতেন, সে বান্ধবকে কত দিন কত বছর দেখিনা। বান্ধবকে না দেখার কি যে যতনা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুজে না আর বুজবে ও না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন