| | বঙ্গাব্দ

হযরত আবুল হাসান খেরকানি (রহঃ) ছাহেবের সাথে স্বাক্ষাত করেন সুলতান মাহমুদ গজনী

 

সুলতান মাহমুদ গজনী হযরত আবুল হাসান খেরকানি (রহঃ) ছাহেবের সাথে স্বাক্ষাতের জন্য খেরকান গমন করেন।
সুলতান মাহমুদ গজনী

খেরকানে গিয়ে হযরতের নিকট একজন বার্তাবাহক প্রেরন করেন সুলতানের তাবুতে হযরতকে আসার জন্য সুলতান তার বার্তাবাহক কে বললো, যদি শায়েখ আসতে অস্বীকার করে তখন "আতি উল্লালাহা আতিরউর রাসুল উলিল আমরি মিনকুম" এই আয়াত শুনাবেন। যেন বর্তমান সুলতানের হুকুম তিনি মানেন। বার্তাবাহক হযরতের নিকট গমন করে সুলতানের সাথে স্বাক্ষাতের কথা বললে হযরত প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তখন বার্তা বাহক বারবার কোরআন শরীফের আয়াতটুকু পড়তেছিলেন হযরতের মনযোগ আর্কষনের জন্য।
হযরত বার্তাবাহককে বললেন, আপনি সুলতানকে বলবেন আমি আল্লাহর ইবাদতে মশগুল সারা দুনিয়ার বাদশা আসলেও আমার কিছু করার নাই আমি যেতে পারবো না। বার্তাবাহক সুলতানের নিকট গঠনা বর্ননা করলে সুলতান বুজতে পারেন হযরত একজন মহান আল্লারওলী। সুলতান সিদ্ধান্ত নিলেন হযরতের খানকায় গমন করবেন এবং হযরতের কারামত পরিক্ষা করবেন।
সুলতান তার দাস "আয়াজ" কে নিজের পোশাক পড়ালেন আর নিজে আয়াজের পোশাক পড়লেন হযরতকে বিভ্রান্ত করার জন্য। সাথে ১০ জন দাসীকে পুরুষের পোশাক পরিয়ে রওনা দিলেন। সুলতানকে দাসের পোশাকে দাস দেখাচ্চে।
হযরতের খানকায় সবাই একসাথে পৌছালে হযরত কোন সম্মান প্রর্দশন না করে দাসের পোশাক পরা সুলতানের হাত ধরে বললেন এসব বন্ধ করেন আর মহিলাদেরকে (পুরুষদের পোশাক পরিহিত) চলে যেতে বলেন। সুলতান এক গঠনা দেখে হযরতের কদমপাকে লুটিয়ে পড়েন
সুলতান হযরতের নিকট দোয়া চাইলেন, হযরত বললেন অনৈতিক কাজ করবেন না, ভালো ব্যবহার করবেন, মানুষকে ভালোবাসবেন, নামাজ পড়বেন ও দান করবেন।
বিদায় বেলা সুলতানকে একটা খিরকা মুবারক উপহার দিলেন। বললেন যদি কখনও এটা হাতে নিয়ে আল্লাহপাকের কাছে চান আল্লাহপাক পূরন করে দিবে।
এই অমূল্য সম্পদ সুলতান সব সময় তার সাথেই রাখতেন
কিছুদিনপর ঐতিহাসিক "সোমনাথের" যুদ্ধ শুরু হলো। যুদ্ধে সুলতান হেরে যাচ্চিলেন তখন খিরকা মুবারক হাতে নিয়ে আল্লাহপাকের নিকট বিজয় ভিক্ষা চাইলেন। তৎক্ষনাৎ যুদ্ধের মোড় ঘুরে গেল সুলতান যুদ্ধে বিজয়ী হলেন।
ঐ দিন রাতে সুলতান হযরত আবুল হাসান খেরকানী (রহঃ) ছাহেবকে স্বপ্নে দেখলেন, তিঁনি বলতেছিলেন, আপনি বিশাল সুযোগ হারিয়েছেন। আপনি এই যুদ্ধের বিজয় না চেয়ে আপনি যদি সমগ্র মানবকে মুসলিম হওয়ার জন্য দোয়া করতেন আল্লাহপাক তাই করতেন।
আমার হযরত পীর কেবলাজান শাহসূফী হযরত মাওলানা খাজাবাবা ফরিদপুরী কুঃছেঃআঃ ছাহেবের প্রতিষ্ঠিত দরবার শরীফে আমরা দেখেছি কত রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী আমলকে। এই ধারা যুগ যুগ ধরে অব্যাহত থাকবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন