| | বঙ্গাব্দ

কত রাজা-বাদশা তোর পায়ের নীচে গড়াগড়ি খাবে

 একবার দাদা হুজুর খাজা এনায়েতপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেব পীর কেবলাজান ছাহেবকে ডেকে বললেন, "বাবা! তোমাকে নির্বাচন করতে হবে।" 

হযরত পীর কেবলাজান ছাহেব বললেন, "হুজুর! আমারতো অর্থ কড়ি নাই।" দাদা হুজুরপাক ধমকের স্বরে বললেন, "কেনো তোমার ঘরখানা আছে না? সেটা বিক্রি করে দাও।" 

হযরত পীর কেবলাজান ছাহেব আপন পীরের হুকুমে নির্বাচন করবে এই মানসে নিজের শেষ সম্বল ঘরখানা বিক্রি করে দিলেন। সমুদয় অর্থ দাদা হুজুর পাকের পাক কদমে জমা দিলেন সাথে নির্বাচনী আবেদন পত্রও দিলেন। দাদা হুজুরপাক নিজের মুষ্ঠি মোবারকের মধ্যে টাকা ও আবেদনপত্র নিলেন। পরের দিনই নির্বাচনী আবেদন পত্র ও টাকা জমা দেয়ার কথা অফিসে। 

দাদা হুজুরপাক আর এই ব্যাপারে কোন কথাই বললেন না, টাকা ও আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হয়ে গেলো। দুই একদিন পর দাদা হুজুরপাক বললেন, "যাও তোমাকে বিদায় দিলাম।"


কোথায় নির্বাচন আর কিসের নির্বচান আপন পীরের বিদায়ের হুকুম মাথায় নিয়ে বাড়ি দিকে চললেন। হঠাৎ দাদা হুজুরপাক সম্মুখে দন্ডায়মান খাদেমকে বললো, "বাবা! ওর তো নির্বাচন করার কথা, ফিরান তাকে।"

খাদেম সাহেব দৌড়ে গিয়ে কেবলাজানকে ডেকে আনলেন। দাদা হুজুরপাক জিসাগা করলেন,"বাবা, আবেদনপত্র জমা দেয়ার লাষ্ট ডেইট কবে? পীর কেবলাজান বললেন," হুজুর জমা দেয়ার তারিখ শেষ।" 

তখন দাদা হুজুরপাক মৃদু হাসলে আর ফরমাইলেন," কি হবে বাবা নির্বাচন করে, পার্লামেন্টের মেম্বার হয়ে কি হবে। কত রাজা-বাদশা তোর পায়ের নীচে গড়াগড়ি খাবে।"


সত্য-ই তো তাই ই হলো। কত রাজা-বাদশা, মন্ত্রী, জেনারেল বাবার কদমে গড়াগড়ি খাচ্ছে। 

কত রাজা-বাদশা তোর পায়ের নীচে গড়াগড়ি খাবে

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন