| | বঙ্গাব্দ

মিথ্যা বলা

 

মানুষ হাসতে হাসতে, বুঝে শুনে যে বড় পাপ বা গুনাহের কাজ গুলো করে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মিথ্যা বলা। মানুষ প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে মিথ্যা বলে।
মিথ্যা বলা

⛔যেমন ধরুন একজন ফল বিক্রেতার দোকানে গিয়ে আপনি বললেন, "আমে কি ফরমালিন আছে? সে উত্তর দিলো, না নেই" কিন্তু বাস্তবে তা ফরমালিনযুক্ত ছিলো। সে অল্প কয়টাকা রোজগারের জন্য মিথ্যার আশ্রয়নিলো। অথচ হযরত রাসূল (সাঃ) ফরমান, "ক্রেতা ও বিক্রেতা ইচ্ছাধীন যতক্ষণ না তারা পৃথক হয়। যদি তারা সত্য বলেও দোষ-গুন বর্ননা দেয়, তবে তাদের মধ্যে বরকত প্রদান করা হয়। আর যদি মিথ্যা বলে তবে তাদের বরকত নষ্ট করে দেয়া হয়।"
⛔আবার ধরুন নিজের অবস্থান জাহির করার জন্য অনেকে মিথ্যা বলে থাকে। আমি স্বপ্নে এই দেখেছি সেই দেখেছি আধতে সে দেখে নাই। তাদের সম্পর্কে হযরত রাসূল (সাঃ) ফরমান, "যে ব্যক্তি স্বপ্ন না দেখেও স্বপ্ন দেখার ভান করবে, তাকে দুটি গমের মাঝে গিরা দিতে বলা হবে অথচ তা সে করতে সক্ষম হবে না অর্থাৎ তাকে সবর্দা শাস্তি দেয়া হবে।
⛔আমাদের মধ্যে এমন লোক আছে সে যা শুনে বা যা দেখে তার সত্যতা যাচাই না করে প্রচার করে বেড়ায়। তার দেখা বা শুনার মধ্যে যদি মিথ্যা থেকে থাকে তবে সে বহু মানুষকে মিথ্যার প্রতারণার দ্বারা প্রতারিত করলো। তাদের সম্পর্কে হযরত রাসূল (সাঃ) ফরমান, "ব্যক্তির মিথ্যুক হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শোনবে তাই বলবে।"
⛔মানুষ বেশি মিথ্যা বলে রসিকতা করে। হাসতে হাসতে। কিন্তু রসিকতা কিংবা স্বাভাবিক অবস্থা মিথ্যা তো হারাম ই। তাই আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ফরমান, "আমি রসিকতা করি ঠিক তবে সত্য ব্যতীত কখনো মিথ্যা বলি না।"
⛔ধরুন একসাথে সবাই ঘুরতে গেলাম। রসিকতা করে এক বন্ধুর মোবাইল লুকিয়ে পেললাম। বন্ধু বললো আমরা মোবাইল দেখেছিস, আমরা বলে উঠলাম, না তো দেখি না। এটাই রসিকতা করে মিথ্যা বলা যা রাসূল (সাঃ) নিষেধ করেছেন।
⛔অনেকে দেখবেন লোক হাসানোর জন্য মিথ্যা বলে। যারা লোক হাসানোর জন্য মিথ্যা বলে তাদের সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ফরমান, "ধ্বংস তার জন্য যে, লোক হাসানোর জন্য কথা বলে এবং তাতে সে মিথ্যার আশ্রয় নেয়। ধ্বংস তার জন্য। ধ্বংস তার জন্য।
⛔আবার অনেকে নিজের মতবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য মিথ্যা বলে তাদের জন্যও ধ্বংস।
⛔মিথ্যা একটা কওমকে ধ্বংসের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
তাই আমার হযরত পীর কেবলাজান শাহসূফী আল্লামা মাওলানা খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ফরমান," যদি একটি মিথ্যা কথা বলে, তাহা হইলে তাহার কালবে একটি তিলক সদৃশ কাল দাগ পড়ে। এই ভাবে সে জীবনে যতগুলো মিথ্যা কথা বলে, তাহার কালবে ততগুলো কালো দাগ পড়ে। এমনি ভাবে কালব অস্বচ্ছ হয়।"
তাই আসুন হাসতে হাসতে, রসিকতা করে, লোক হাসানোর জন্য, নিজের মত প্রতিষ্ঠার জন্য মিথ্যার আশ্রয় না নেই।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন